এসি আবিষ্কারের ইতিহাস জেনে অবাক হবেন এসি ছিল একটি দুর্ঘটনা বসত আবিষ্কার অর্থাৎ মানুষের আরামের কোথা ভেবে এটা বানানো হয়নি ১৯০২ সালে নিউইয়র্কের একটি ছাপাখানা জন্য এই বৈদ্যুতিক এসি বানানো হয়েছিল। বাতাসে আদ্রতা কারণে ওই ছাপাখানায় মুদ্রণের সময় কাগজ আকার ছোট বড় হয়ে যাচ্ছিল আর কালি ছড়িয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় ছাতাখানা কর্তৃপক্ষ বাফেলো ফোর্স নামে এক কোম্পানিকে আদ্রতা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সিস্টেম তৈরি করতে বলেন।সেই সময় উলিয়াস ক্যারিয়ারনামে তরুর এক প্রকৌশলী আদ্রতা দূর করার কৌশল আবিষ্কার করেন। তিনি দেখেন একটি কয়েলকে কম্প্রেসট এলুমিয়া দিয়ে ঠান্ডা করার পর এর মধ্য দিয়ে বায়ু সঞ্চালন করলে সেখানকার আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আদ্রতা কমানো সাথে সাথেবাতাসকে শীতল করে তুলছিল এই সিস্টেম কিন্তু যন্ত্রটি ঠান্ডা করার জন্য খ্যাতি পাইনি।
তবে এই প্রয়োজনীয় এই এসি কেনার ক্ষেত্রে উদ্বেগে থাকেন যে এতে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে কিনা বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে কিনা এক্ষেত্রে এসে কি তার আগে যে পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখবেন তাহলে কম বিদ্যুৎ খরচে খুব নিরাপদে এসি ব্যবহার করতে পারবেন।জায়গা বুঝে এসি বাজারে বিভিন্ন টনের এসি পাওয়া যায় এখানে টন বলতে এসির ওজন নয় বরং এটি ঘন্টায় কি পরিমান গরম হাওয়া বাইরের বের করতে পারে তার সক্ষমতাকে বুঝাই। এক টনের এসি প্রতি ঘন্টায় রুম থেকে ১২ হাজার ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট বা BTU গরম বাতাস অপসারণ করতে পারে। আপনার কত টন এসি প্রয়োজন সেটা নির্ভর করে ওই ঘরের আয়তন কত ছাদে ঠিক নিচের তলার ঘর কিনা সূর্যেরয কিরণ কতটা পড়ছে ঘরের সাথে সংযুক্ত টয়লেট আছে কিনা এবং ওই ঘরে কয়জন মানুষ থাকছেন তার উপর। এসি কিনার আগে ঘরের মাপ নিয়ে যাবেন বাকি সব তথ্য বিক্রয় কর্মীকে জানাবেন। এক বিক্রয় কর্মী তথ্য অনুযায়ী ঘর এর আয়তন যদি একশত থেকে একশত বিষ বর্গফুট সে ক্ষেত্রে এক টন এসি যথেষ্ট। দেড় টন এসি যে সকল ঘরে আয়তন ১২০ থেকে ১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন। অন্যদিকে দেড়শ থেকে ২০০ বর্গফুট আয়তনের ঘরের জন্য দুই টন এসি যথেষ্ট। তবে ছাদের নিচে ঘর হলে এবং দরজা জানালা দিয়ে সরাসরি সূর্যের রোদ ঢুকলে এসির ক্যাপাসিটি বাড়তে পারে। প্রয়োজনের চাইতে বেশি টনে এসি কিনলে রুম খুব বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় এবং অযথা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসে। অন্যদিকে বড় ঘরে কম টনের এসি লাগালে ঠান্ডা তো হবেই না উল্টো কম্প্রেসার এ চাপ পড়ে এসি নষ্ট হয়ে যায়।