যে ভুল গুলো করলে আপনার,কোরবানি হবে না ? নেকির উদ্দেশ্যে নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট পশুকে আল্লাহর রাস্তায় যবেহ করাকে কোরবানি বলা হয়। অর্থাৎ নিজেদের মত ইসলামী শরিয়ার বাইরে গিয়ে
সেটি যবেহ করলে সেটি কুরবানী হবে না। কি কি
কারণে কোরবানি কবুল হয় তা জানা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। অন্যান
ইবাদাতের মত কুরবানীর বিষয়ক ইসলামের পরিষ্কার বিধান রয়েছে। কোন কোন পশু কুরবানী করা যাবে তাদের বয়স কত হওয়া লাগবে তাও বলা আছে শরীয়াতে। যেমন গরু মহিষ দুই বছর এবং ছাগল এক বছর বয়স হতে হবে । তবে বেড়া ও দুম্বা ক্ষেত্রে ছয় মাসের হলেও চলবে। হাদিস অনুযায়ী চার ধরনের পশু কুরবানী করা যায় না যে পশুর
একচোখ দৃষ্টিহীন যে পশুপতি অতি রুগ্ন ও যে পরশু সম্পূর্ণ খোড়া এবং যে পশু এত জীর্ণ যে তার হারে মগজ নেই।
নিয়তে ত্রুটি থাকলে কুরবানী কবুল হয় না।কোরআন বলছে আল্লাহর কাছে কখনো কোরবানির
পশুর গোশত রক্ত পৌঁছে না বরং তার কাছে পৌঁছে মানুষের অন্তরের তাকওয়া। সূরা হজ আয়াত ৩৭ মানুষকে দেখানোর জন্য বাজারের বড় ও দামি পশু জবাই করলে কুরবানী হয় না।কোরবানি হতে হবে
শুধু আল্লাহর জন্য নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের কুরবানী কবুল করেন সূরা মায়েদা আয়াত ২৭ ।কোরআন-সুন্নাহর বিধানের লংঘন করে পশু যবেহ করলে আল্লাহ তালার কাছে তা কবুল হয় না। কোরআন বলছে যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার প্রতিপালকের ইবাদতের কাউকে শরীক না করে সূরা কাহাফ আয়াত ১০। সুতরাং যারা শুধু বছরজুড়ে
পশুর গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানী দেয় তাদের কুরবানী ও গ্রহণযোগ্য হবে না । শরিকদের মধ্যে ভাগ বন্টন এর গরমিল করা যাবে না সবার অংশ সমান হতে হবে। যেমন কারো আদাভাগ কারো দের ভাগ এমন হলে বাকি শরিকদের কোরবানি অ শুদ্ধ হবেনা। উট গরু মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যে কোন সংখ্যায় কোরবানি করা যাবে। যেমন ২,৩,৪,৫ ও ৬ ভাগে কুরবানী করা জায়েয। উট এর বয়স ৫ বছর হতে হবে গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে মুসলিম শরীফ ১৩১৮ । হারাম টাকা দিয়ে কোরবানি করলে আল্লাহ কবুল করেন না। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র তিনি শুধু পবিত্রতায় গ্রহণ করেন,তিরমিজি ২৯৮৯।
যে ভুল গুলো করলে আপনার,কোরবানি হবে না
Leave a comment
Leave a comment